কবি ইয়াছিন আরাফাতের চন্দ্ররজনী কবিতায় রাত্রির মায়াবী সৌন্দর্য
কবিতাঃ চন্দ্ররজনী
কবিঃ ইয়াসিন আরাফাত
আজ আকাশটা পরিষ্কার,
চাঁদের আলোর ক্ষুদ্র - ক্ষুদ্র কণা যেন নুয়ে পড়ছে মাটিতে,
আপ্লুত হলো যে মোর মন দেখিয়া সেই চন্দ্র চাহনি !
মনস্থির করিলাম,
আনমনে চাদ দেখিব আজ পূর্ণ রজনি!
অতঃপর যখনি দ্বার খুলিয়া
চরণ ফেলিলাম দ্বারের বাহিরে,
হৃদয়ে একটু ভয় জাগছিলো
মনে হলো আছি কি সজ্ঞানে?
ভাবিলাম তখন - সজ্ঞানে থাকি বা নাই থাকি,
ভাবনার সেই সময় যে নাই,
চন্দ্রের তীক্ষ্ণ প্রকৃতি
তীব্র আকর্ষণ করিতেছে যে মোরে হায়!
মন্থর গতিবিশিষ্ট চরণে
এক পা দু পা করে চলিয়া,
বসিলাম সেই উঠানের কাঁঠাল গাছটার তটে আসিয়া |
মনে ভয় হচ্ছে,
কখন জানি মা আসিয়া কয় -
পাগল হইলি নাকি রে বেটা !
কি করিস এত রাতে ?
এখানে বসে একা!
কখন জানি ভেবে নেয়,
বেটারে ভূতে করিলো নাকি ভর?
ডাক দিয়া বাবারে বলে -
ওরে বাবুর বাপ
বেটারে আসিয়া ধর !
মনের রাজ্যে নানান কল্পনা জল্পনার ভিড়ে,
ভুলে গেছি চাঁদ দেখার কথা,
ততক্ষণে অভিমান করে চন্দ্র,
অনেকটা দূরে সরে গেছে মনে নিয়ে ব্যথা |
পরক্ষণে বুঝিলাম অভিমান নয়! অভিমান নয়!
এটা যে প্রকৃতির খেলা,
তারপরেও বিষণ্নতার জোয়ারে ভাসছিলাম,
ভাবিয়া চন্দ্রের কথা |
ক্ষণিকের ঈদতুল্য আনন্দ মোর,
যেন মিশে গেলো ধুলায় ,
ভাবিনু দেখিতে পাবো কি আরেকদিন ?
এমন দীপ্তিময় চন্দ্র হায় !
প্রতীক্ষার ঝুলি কাঁধে নিয়ে,
বিষণ্ন মনে ফিরিলাম যে ঘরে |
আজও আছি অপেক্ষায়,
সেই নিস্তব্ধ চঁন্দ্ররজনীর তরে!
⁓ সমাপ্ত ⁓
- কবি পরিচিতি -
ইয়াছিন আরাফাত |
"চন্দ্ররজনী" কবিতাটি চাঁদের প্রতি এক অনন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি। চন্দ্রালোকের মিষ্টি বর্ণনা, সময়ের সাথে হৃদয়ের গভীর প্রবাহ এবং মনের অনুভূতি কবিতার প্রতিটি শব্দে ধরা পড়েছে। চাঁদ নিয়ে কথার অবিরাম ধারা, প্রতিটি শ্বাসে চাঁদের ছায়াপথে হারিয়ে যেতে চায়। কবির ভাষা ও বর্ণনার মাধুর্য পাঠককে এক অমূর্ত চিন্তার জগতে নিয়ে যায়। কবিতাটি পাঠকের হৃদয়ের প্রতিটি সূক্ষ্ম অনুভূতিকে উদ্দীপিত করে। একটি কবিতা পড়েই মনে হয় আমি কবির এক অনুরাগী হয়ে উঠেছি। অফুরান ভালোবাসা কবি ইয়াছিন আরাফাতের প্রতি।
আপনার এ অমায়িক মন্তবের বাচনভঙ্গি সত্যিই আমায় বিষ্মিত ও মুগ্ধ করেছে ভাই। আপনার প্রতি অবিরাম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো।
আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।