কবিতা বাসনা: কবি ইয়াছিন আরাফাতের এক মনমুগ্ধকর যাত্রা
কবিতাঃ বাসনা
কবিঃ ইয়াছিন আরাফাত
কোলাহলপূর্ণ এ নগর
মনে ধরে না মোর
নিবৃত্ত ঐ অটবীর কান্তি
মম চিত্ত করিছে দখল
ইট পাথরের এ কৃত্রিম আলয়
কেমন যেন বন্ধীশালা
অরণ্য যেন মুক্ত নিবাস
বিশ্বময়ীর উৎকৃষ্ঠ উপমা
সে যে নৈসর্গের এক অম্লান নিদর্শন
নীরবতায় ঘেরা উদাস পাড়া
মহাকলরবের এ জনপদে
তর সয়না আর থাকতে
মহানিবার্ণ হয়ে যাত্রা করতে
কে দিবে বাঁধ উত্তাল ঐ মন পয়োধিতে ?
কে হবে তমসার জমাট কুয়াশা
থামাতে মোর পদচারণা ?
আমি তো উদাসী
যাবোই সে নীড়ে
ছোট্ট কুঠির ঘর বানাবো
অরণ্যের ঐ পাড়ে
বনের ঐ জানোয়ারগুলো
ভাববে সবিষ্ময়ে - উন্মাদ নাকি এ ?
প্রাসাদ ছেড়ে এসেছে কেন এ গহীনে ?
ডর কি নাই বনি আদমের ঐ বক্ষে ?
মুচকি তখন হাসবো আমি
ওদের বদন চেয়ে
বন্ধুত্বের তীর বিধবে গিয়া
ওদের হিয়া ফেড়ে
অম্বর আমার উন্মাদনা দেখে
খুব করে পরবে ভেঙে
অভিমানে সে বৃষ্টি ঝরাবে
আমার কুঠির চালে
টাপুর টুপুর বৃষ্টি বিলাসে
তলিয়ে যাবো ঘুমে
মহানিশায় দুঃস্বপ্ন দেখে
চমকে বসবো চৌকিতে
গবাক্ষের ঐ রন্ধ্র দিয়ে
আমায় তখন ইন্দু দেখে
মিটিমিটি দুষ্টমির হাসি হাসবে
শকুন্তের কূজনে ভাঙলে আমার তন্দ্রা
আদিত্যের রদ্দুর গায়ে মাখাবো
নির্মল হাওয়ায় পরাণ জুড়াবো
হয়ে পাগলপারা
কখনোবা তটিনীর ধারে একাকী বসে
বিসর্জন করবো ষড়ঋপু
লোচনে মোর শ্রুভ্রতা নামবে
কপোল বেয়ে গড়বে অশ্রু
কখবোনা মলিন বদনে, রুক্ষ কেশে
বীবের বেশে হবো নিরুদ্দেশ
ক্ষ্যাপা মন আমার উৎফুল্ল বিষাদে
নৃত্য করবে মানবে না সে ভবের নির্দেশ
কখনোবা পর্বতের চূড়ায় উঠে
দেখবো এ বঙ্গধাত্রী
আকন্ঠে অবলোকনের সাধ মিটায়ে
কুড়ে নেবো আত্নতৃপ্তি
যাচিয়া আমি মিত্র হবো বঙ্গের এ নৈসর্গের
নিদ্ধির্ধায় মিশে যাবো
তাহার মঞ্জুল অম্লান ঔজ্জ্বল্যেই
যুগান্তরের মাতাল ঢেউয়ে
কেটে যাবে মোর একেকটি অহনা
সহসা হঠাৎ ব্যোম আজ্ঞা আসবে
বিদায় নিতে থাকবে না তো দ্ধিধা
ভব লীলা এবার সাঙ্গ হবে
জীবন সূর্য যাবে উবে
নিথর শব মিশে যাবে
অরণ্যের ঐ গহীন উদরে
- সমাপ্ত -
কবি পরিচিতি